পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সরকারি মালিকানাধীন জ্বালানি খাতের কোম্পানি যমুনা অয়েল ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের আরও শেয়ার বিক্রি শুরু করেছে সরকার। এর মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারে শেয়ার সরবরাহ বাড়াতে সরকারের দেওয়া ঘোষণা বাস্তবায়নের কিছুটা অগ্রগতি হলো।
দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে গতকাল সোমবার কোম্পানি দুটির শেয়ার বিক্রিসংক্রান্ত পৃথক ঘোষণা প্রকাশ করা হয়। এতে জানানো হয়, আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মালিকানায় থাকা যমুনা অয়েলের ৫৩ লাখ ৫৫ হাজার শেয়ার বিক্রি করা হবে। সংস্থাটির হাতে বর্তমানে তিন কোটি ১৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৪টি শেয়ার রয়েছে।
আর মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৫৪ লাখ ৯৭ হাজার ৮০০টি শেয়ার ছাড়া হবে। বিপিসির কাছে এ প্রতিষ্ঠানটির তিন কোটি ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৪টি শেয়ার রয়েছে।
উভয় কোম্পানির ক্ষেত্রেই বিপিসির হাতে থাকা শেয়ারের ১৭ শতাংশ বাজারে ছাড়া হচ্ছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) শেয়ার বিক্রির দায়িত্বে থাকবে। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান জানান, ‘আজ থেকে বিক্রি শুরু হবে।’
সরকারের শেয়ার ছাড়ার এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দুই স্টক এক্সচেঞ্জের নেতারা। তাঁরা ঘোষণা অনুযায়ী সরকারের বাকি কোম্পানিগুলোর শেয়ারও দ্রুত বাজারের ছাড়ার তাগিদ দেন।
যমুনা অয়েলের পরিশোধিত মূলধন ৫৪ কোটি টাকা, যা পাঁচ কোটি ৪০ লাখ শেয়ারের বিভক্ত। এর মধ্যে ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং ১৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মালিকানায় রয়েছে। বিপিসির মালিকানায় রয়েছে ৭০ শতাংশ শেয়ার।
২০০৭ সালে সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছেড়েছিল। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী কোম্পানিটির মোট শেয়ারের আরও ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার ছাড়া হবে। সেই হিসাবে সরকারের মালিকানায় আরও ৬০ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ শেয়ার থাকবে।
মেঘনা পেট্রোলিয়ামের পরিশোধিত মূলধন ৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা চার কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার শেয়ারে বিভক্ত। এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৬ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মালিকানায় রয়েছে ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
মেঘনা পেট্রোলিয়ামও ২০০৭ সালে সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে মোট শেয়ারের ৩০ শতাংশ বাজারে ছেড়েছিল। নতুন ঘোষণায় আরও ১১ দশমিক ৩৩ শতাংশ শেয়ার ছাড়া হচ্ছে। সেই হিসাবে সরকারের মালিকানায় কোম্পানিটির ৫৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার থাকবে।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী ২৬টি কোম্পানির শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রূপালী ব্যাংক ছাড়া আর কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ছাড়া সম্ভব হয়নি।
বাজার পরিস্থিতি: এদিকে সরকারি শেয়ারের সরবরাহ আসার ঘোষণায় দেশের শেয়ারবাজারে আরেক দফা মূল্য সংশোধন হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল মঙ্গলবার সাধারণ সূচক ৫৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৬৪২ পয়েন্টে নেমে এসেছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ৯৮ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার নয় পয়েন্ট হয়েছে।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬৮০ কোটি টাকার শেয়ার, যা আগের দিনের চেয়ে ২০২ কোটি টাকা কম। আর সিএসইতে ১৬৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
source:http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-07-27/news/173258
প্রাথমিক শেয়ারের মূল্য পর্যালোচনা ও অনুমোদিত প্রতিনিধিদের ভুল-ত্রুটি নিরীক্ষায় পৃথক কমিটি
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বাড়িয়ে গুজবনির্ভর বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণের জন্য পেশাদার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান (রিসার্চ এ্যান্ড এ্যাডভাইজরি সার্ভিস) চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন ও কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের জন্য ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এই কমিটি অনুমোদন করা হয়। সভায় নির্ধারিত মূল্য (ফিঙ্ড প্রাইস) পদ্ধতিতে প্রাথমিক শেয়ারের মূল্য পর্যালোচনার জন্য আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া শেয়ারের ক্রয়-বিক্রয়াদেশ প্রদানে অনুমোদিত প্রতিনিধিদের অনিচ্ছাকৃত ভুল ত্রুটি নিরীৰা করে এ বিষয়ে উন্নততর নীতিমালা প্রণয়নের জন্য পাঞ্চিং এরোর কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসইসি।
পরামর্শ প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত নীতিমালা : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে পরামর্শক কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা থাকলেও বাংলাদেশে এখনও এ ধরনের কোন উদ্যোগ নেই। শেয়ারবাজারে বিশ্লেষণধর্মী বিনিয়োগ প্রবণতা বাড়াতে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মহল থেকে পেশাদার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চালুর প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান চালু করা হলে একদিকে বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বাড়বে, তেমনি বাজারে গুজবভিত্তিক লেনদেন নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চালুর উদ্যোগ নিয়েছে এসইসি।
এসইসির মুখপাত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বিনিয়োগকারীদের সঠিক দিক-নির্দেশনা প্রদানের জন্য পেশাদার পরামর্শ প্রতিষ্ঠান চালু করা প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করছে। এ সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করতে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অগ্রাধিকারভিত্তিতে পরামর্শ প্রতিষ্ঠান সংক্রানত্ম নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
মূল্য পর্যালোচনা কমিটি আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসার জন্য নতুন কোম্পানির প্রাথমিক শেয়ারের মূল্য নির্ধারণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য বুকবিল্ডিং পদ্ধতি সংস্কারের পাশাপাশি স্থির মূল্য পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছিল খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে গঠিত পুঁজিবাজার তদনত্ম কমিটি। এর ভিত্তিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কমিটি পুনর্গঠনের এক মাসের মধ্যে স্বল্পমেয়াদে যেসব পদৰেপ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারমধ্যে মূল্য পর্যালোচনা কমিটি গঠনের বিষয়টিও ছিল।
পুনর্গঠনের প্রায় আড়াই মাস পর মঙ্গলবার ৫ সদস্যের শেয়ারের প্রাথমিক মূল্য পর্যালোচনা কমিটি গঠনের সিদ্ধানত্ম নিয়েছে এসইসি। কমিটির সদস্যরা হলেন_ আইসিএবির সভাপতি, আইসিএমএবির সভাপতি, দুই স্টক এঙ্চেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অথবা হিসাববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান। তবে নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানরা ইচ্ছা করলে তার কোন প্রতিনিধিকে এই কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত করতে পারবেন।
সভায় মূল্য পর্যালোচনা কমিটি গঠনের পাশাপাশি এর কার্যপরিধিও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। কমিশনের পৰ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর এই কমিটি তাদের কাজ শুরু করবে।
পাঞ্চিং এরোর কমিটি ॥ কম্পিউটারের মাধ্যমে শেয়ারের ক্রয়-বিক্রয়াদেশ প্রদান করতে গিয়ে অনেক সময় ব্রোকারেজ হাউসের অনুমোদিত প্রতিনিধিরা ভুলবশত (পাঞ্চিং এরোর) কী-বোর্ডের এক বাটনের পরিবর্তে অন্য বাটনে চাপ দেন। এ ধরনের ভুলের কারণে শেয়ারের শর্টসেলসহ নানা ধরনের বিপত্তি ঘটে থাকে। কিন্তু বর্তমান বিধি অনুযায়ী যে কোনভাবে শর্টসেল হলেই পরদিন ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেন বন্ধ রাখতে হয়। এতে ওই হাউসের বিপুলসংখ্যক বিনিয়োগকারী দুর্ভোগে পড়েন। এছাড়া অনুমোদিত প্রতিনিধিদের অনিচ্ছাকৃত ভুল চিহ্নিত করার কোন ব্যবস্থা না থাকায় নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।
এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্যই অনুমোদিত প্রতিনিধিদের ভুল পরীৰার উন্নততর নীতিমালা প্রণয়নের জন্য পাঞ্চিং এরোর কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসইসি।
source:http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=34&dd=2011-07-27&ni=66079
প্রাথমিক শেয়ারের মূল্য পর্যালোচনা ও অনুমোদিত প্রতিনিধিদের ভুল-ত্রুটি নিরীক্ষায় পৃথক কমিটি
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বাড়িয়ে গুজবনির্ভর বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণের জন্য পেশাদার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান (রিসার্চ এ্যান্ড এ্যাডভাইজরি সার্ভিস) চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন ও কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের জন্য ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এই কমিটি অনুমোদন করা হয়। সভায় নির্ধারিত মূল্য (ফিঙ্ড প্রাইস) পদ্ধতিতে প্রাথমিক শেয়ারের মূল্য পর্যালোচনার জন্য আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া শেয়ারের ক্রয়-বিক্রয়াদেশ প্রদানে অনুমোদিত প্রতিনিধিদের অনিচ্ছাকৃত ভুল ত্রুটি নিরীৰা করে এ বিষয়ে উন্নততর নীতিমালা প্রণয়নের জন্য পাঞ্চিং এরোর কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসইসি।
পরামর্শ প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত নীতিমালা : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে পরামর্শক কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা থাকলেও বাংলাদেশে এখনও এ ধরনের কোন উদ্যোগ নেই। শেয়ারবাজারে বিশ্লেষণধর্মী বিনিয়োগ প্রবণতা বাড়াতে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মহল থেকে পেশাদার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চালুর প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান চালু করা হলে একদিকে বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বাড়বে, তেমনি বাজারে গুজবভিত্তিক লেনদেন নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চালুর উদ্যোগ নিয়েছে এসইসি।
এসইসির মুখপাত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বিনিয়োগকারীদের সঠিক দিক-নির্দেশনা প্রদানের জন্য পেশাদার পরামর্শ প্রতিষ্ঠান চালু করা প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করছে। এ সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করতে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অগ্রাধিকারভিত্তিতে পরামর্শ প্রতিষ্ঠান সংক্রানত্ম নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
মূল্য পর্যালোচনা কমিটি আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসার জন্য নতুন কোম্পানির প্রাথমিক শেয়ারের মূল্য নির্ধারণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য বুকবিল্ডিং পদ্ধতি সংস্কারের পাশাপাশি স্থির মূল্য পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছিল খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে গঠিত পুঁজিবাজার তদনত্ম কমিটি। এর ভিত্তিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কমিটি পুনর্গঠনের এক মাসের মধ্যে স্বল্পমেয়াদে যেসব পদৰেপ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারমধ্যে মূল্য পর্যালোচনা কমিটি গঠনের বিষয়টিও ছিল।
পুনর্গঠনের প্রায় আড়াই মাস পর মঙ্গলবার ৫ সদস্যের শেয়ারের প্রাথমিক মূল্য পর্যালোচনা কমিটি গঠনের সিদ্ধানত্ম নিয়েছে এসইসি। কমিটির সদস্যরা হলেন_ আইসিএবির সভাপতি, আইসিএমএবির সভাপতি, দুই স্টক এঙ্চেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অথবা হিসাববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান। তবে নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানরা ইচ্ছা করলে তার কোন প্রতিনিধিকে এই কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত করতে পারবেন।
সভায় মূল্য পর্যালোচনা কমিটি গঠনের পাশাপাশি এর কার্যপরিধিও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। কমিশনের পৰ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর এই কমিটি তাদের কাজ শুরু করবে।
পাঞ্চিং এরোর কমিটি ॥ কম্পিউটারের মাধ্যমে শেয়ারের ক্রয়-বিক্রয়াদেশ প্রদান করতে গিয়ে অনেক সময় ব্রোকারেজ হাউসের অনুমোদিত প্রতিনিধিরা ভুলবশত (পাঞ্চিং এরোর) কী-বোর্ডের এক বাটনের পরিবর্তে অন্য বাটনে চাপ দেন। এ ধরনের ভুলের কারণে শেয়ারের শর্টসেলসহ নানা ধরনের বিপত্তি ঘটে থাকে। কিন্তু বর্তমান বিধি অনুযায়ী যে কোনভাবে শর্টসেল হলেই পরদিন ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেন বন্ধ রাখতে হয়। এতে ওই হাউসের বিপুলসংখ্যক বিনিয়োগকারী দুর্ভোগে পড়েন। এছাড়া অনুমোদিত প্রতিনিধিদের অনিচ্ছাকৃত ভুল চিহ্নিত করার কোন ব্যবস্থা না থাকায় নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।
এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্যই অনুমোদিত প্রতিনিধিদের ভুল পরীৰার উন্নততর নীতিমালা প্রণয়নের জন্য পাঞ্চিং এরোর কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসইসি।
source:http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=34&dd=2011-07-27&ni=66079
গত বছর অর্থাৎ ২০১০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান দেশগুলোর মধ্যে যেখানে ভারত ও পাকিস্তানে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ কমে গেছে, সেখানে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে।
গত বছর বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯১ কোটি ৩০ লাখ ডলার যা আগের বছরের (২০০৯) তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল সারা বিশ্বে একযোগে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
অবশ্য গত বছরের বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ২০০৮ সালের চেয়ে কম। ২০০৮ সালে এক হাজার আট কোটি ৬০ লাখ ডলার বিনিয়োগ হয়েছিল।
ঢাকার মতিঝিলে বিনিয়োগ বোর্ডের নিজস্ব কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আঙ্কটাডের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিকসহ বাংলাদেশের অবস্থা তুলে ধরেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম ইসমাইল হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান এস এ সামাদ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে সিঙ্গাপুর, যার পরিমাণ ৩১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এরপর যথাক্রমে যুক্তরাজ্য (১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার), নেদারল্যান্ড (ছয় কোটি ৪০ লাখ ডলার), হংকং (ছয় কোটি ৩০ লাখ ডলার), আমেরিকা (পাঁচ কোটি ৬০ লাখ ডলার), ভারত (চার কোটি ৩০ লাখ ডলার) থেকে বিনিয়োগ এসেছে।
গত বছর টেলিযোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ প্রায় ৩৬ কোটি ডলার বিনিয়োগ এসেছে। এরপর যথাক্রমে ব্যাংকিং (১৬ কোটি ৩০ লাখ), বস্ত্র ও পোশাক (১৪ কোটি ৫০ লাখ), জ্বালানি (নয় কোটি ২০ লাখ) এবং অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ এসেছে।
অধ্যাপক ইসমাইল বলেন, গত বছর ভারত ও পাকিস্তানে বিনিয়োগ সংকুচিত হলেও বাংলাদেশে তা প্রসারিত হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ ক্রমান্বয়ে বেড়ে ২০১৩ সালে ১৯০ কোটি ডলারে উন্নীত হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদনে বিদেশি বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ১৪১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৪। গত বছর এই অবস্থান ছিল ১২০। সেই হিসাবে বাংলাদেশ ছয় ধাপ এগিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান এস এ সামাদ বলেন, বর্তমান সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে। সরকার ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এখন মাত্র এক দিনের মধ্যেই নিবন্ধনের কাজটি সারতে পারেন।
নির্বাহী চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশে মোট বিনিয়োগ জিডিপির ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ এবং শিক্ষার হার ৬০ শতাংশে উন্নীত করতে পারলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তা হলে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা সহজ হবে।
অনুষ্ঠানে প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান মির্জা আবদুল জলিল, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সদস্য আবু রেজা খান, শামসুল ইসলাম চৌধুরীসহ বিনিয়োগ বোর্ডের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈশ্বিক চিত্র: প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর বিশ্বে মোট বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে এক লাখ ২৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। যা আগের বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি। কিন্তু ২০০৭ সালের চেয়ে ৩৭ শতাংশ কম।
গত বছর বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষ তিনটি দেশ হলো যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র (২২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার), চীন (১০ হাজার ৬০০ কোটি) ও হংকং (ছয় হাজার ৯০০ কোটি)।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে গত বছর ভারতে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৬৪ কোটি ডলারের বিনিয়োগ এসেছে। তবে এটি ২০০৯ সালের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম। একইভাবে পাকিস্তানে ২০১ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এলেও তা ২০০৯ সালের চেয়ে ১৩ শতাংশ কম।
দক্ষিণ এশিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে মালদ্বীপে। এই ছোট দ্বীপ দেশটিতে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। আর শ্রীলঙ্কায় বিনিয়োগ বেড়েছে ১৮ শতাংশ। নেপালে বিনিয়োগ স্থবির রয়েছে। ভুটান ও আফগানিস্তানে কমে গেছে।
source:http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-07-27/news/173256
প্রাথমিক শেয়ারের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে বুকবিল্ডিং পদ্ধতির সংশোধনীর খসড়া চূড়ান্ত করেছে সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। তবে বিধিমালা সংশোধনের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই এ বিষয়ে শেয়ারবাজার সংশিস্নষ্ট বিভিন্ন পৰের মতামত গ্রহণ করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এসইসির মুখপাত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সূত্র জানায়, কমিশন পুনর্গঠনের আগে প্রণীত খসড়াকে ভিত্তি করেই বুকবিল্ডিং পদ্ধতির সংশোধনীর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। ওই খসড়ায় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ও প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) বিবেচনায় নিয়ে শেয়ারের নির্দেশক মূল্য নির্ধারণের বিধান রাখা হয়েছিল। এৰেত্রে লেনদেন শুরুর আগে কোন কোম্পানির শেয়ারের মূল্য ও আয়ের (পি/ই) অনুপাত ১৫ এর বেশি হতে পারবে না। পাশাপাশি শেয়ারের নির্দেশক মূল্য কোম্পানির শেয়ারপ্রতি এনএভির পাঁচ গুণের নিচে থাকতে হবে। তবে উদ্যোক্তাদের জন্য শেয়ারের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে নির্দেশক মূল্য এনএভির চেয়ে বেশি নির্ধারণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।
কমিশনের আগের প্রস্তাবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের দর প্রসত্মাব (বিডিং) প্রক্রিয়ার মধ্যে বরাদ্দ শেয়ার বিক্রির নিষেধাজ্ঞা (লক ইন) ১৫ দিন থেকে বাড়িয়ে ৬০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। দর প্রস্তাব প্রক্রিয়ার সময়সীমা তিন দিনের পরিবর্তে দু'দিন করার কথা বলা হয়। দর প্রস্তাবের মাধ্যমে চূড়ানত্ম মূল্য নির্ধারণের দু'দিনের মধ্যে আইপিও বিবরণী (প্রসপেক্টাস) এসইসিতে জমা এবং ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন গ্রহণ শুরম্নর বাধ্যবাধকতা আরোপ করারও প্রসত্মাব করেছিল এসইসি। বর্তমানে দর প্রসত্মাবের পর ২৫ দিনের মধ্যে আইপিওর টাকা জমা নিতে হয়।
আগের খসড়া অনুযায়ী নির্দেশক মূল্য নির্ধারণের লৰ্যে রোড শো আয়োজনের কমপৰে ৫ দিন আগে কোম্পানির খসড়া বিবরণীর (প্রসপেক্টাস) ছাপানো কপি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের কাছে পাঠাতে হবে। তবে এতে কোনভাবেই নির্দেশক মূল্যের কোন প্রসত্মাব করা যাবে না। কোম্পানির আর্থিক বিবরণী পর্যালোচনার জন্য আইসিএবি, আইসিএমএবি, দুই স্টক এঙ্চেঞ্জের সমন্বয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। তবে এতে কোম্পানির সঙ্গে সংশিস্নষ্ট কোন ব্যক্তি থাকতে পারবেন না।
উলেস্নখ্য, দীর্ঘদিন পরীৰা-নিরীৰার পর পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তির জন্য শেয়ারের প্রাথমিক মূল্য নির্ধারণের লৰ্যে বুকবিল্ডিং পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক আগে থেকেই সফলভাবে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। দেশের পুঁজিবাজারে এই পদ্ধতি চালু করার জন্য গত বছরের ৯ মার্চ বিধিমালা জারি করে এসইসি। প্রচলিত পদ্ধতির নির্ধারিত মূল্যের (ফিঙ্ড প্রাইস) পাশাপাশি বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারের দর নির্ধারণের লৰ্যে ২০০৬ সালের সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইসু্য) আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়। বুকবিল্ডিং পদ্ধতি চালু হলেও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি না থাকায় এটি প্রয়োগ করতে সময় লেগেছে এক বছর। ২০১০ সালের মার্চে এই পদ্ধতির প্রয়োগ শুরম্ন হয়।
পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বুকবিল্ডিং পদ্ধতির অংশ হিসেবে দর প্রসত্মাবের (বিডিং) মাধ্যমে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার (লক ইন) মেয়াদ খুবই কম হওয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বেশি দরে শেয়ার বিক্রি করে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই শেয়ারের দর কমে যায়। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রসত্ম হন। বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে এ পর্যনত্ম অনুমোদন পাওয়া সব কোম্পানিই লেনদেন শুরম্নর আগে থেকেই অতি মূল্যায়িত হয়েছে।
সংশিস্নষ্ট বিধি-বিধান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, নির্ধারিত মূল্য (ফিঙ্ড প্রাইস) পদ্ধতির ৰেত্রে কোন কোম্পানির শেয়ারের দর মৌলভিত্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন হলে এসইসি তা কাটছাঁট করতে পারে। কিন্তু বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে সুনির্দিষ্টভাবে সেই সুযোগ নেই। আইনের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সংশিস্নষ্ট কোম্পানিগুলো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্য নির্ধারণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুঁজিবাজারে বড় ধরনের বিপর্যয়ের প্রেৰাপটে গত ২২ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারের অতি মূল্যায়নের বিষয়টি আলোচনায় আসে। বৈঠকে বলা হয়, বুকবিল্ডিং পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেক কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসার আগেই শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্য নির্ধারণ করছে। এর ফলে বাজার থেকে অতিরিক্ত অর্থ স্থানানত্মরিত হয়ে যাচ্ছে। এই পদ্ধতি মূল্য নির্ধারণের পর প্রাথমিক গণপ্রসত্মাবের (আইপিও) মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা হওয়ায় শেয়ারবাজারে বর্তমান অর্থ সঙ্কট বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে বুকবিল্ডিং পদ্ধতি স্থগিত রাখার প্রসত্মাব করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এই প্রসত্মাবে সম্মতি প্রকাশ করে বাজারে স্বাভাবিক অবস্থা না ফেরা পর্যনত্ম বুকবিল্ডিং পদ্ধতি স্থগিত রাখার পরামর্শ দেন। এর ভিত্তিতে এসইসি বুকবিল্ডিং পদ্ধতি স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়।
পরে বুকবিল্ডিং পদ্ধতি সংস্কারের লৰ্যে পাবলিক ইসু্য বিধিমালা, ২০০৬-এর প্রসত্মাবিত সংশোধনের উদ্যোগ নেয় এসইসি। এ বিষয়ে মতামত গ্রহণের জন্য গত ২১ মার্চ দুই স্টক এঙ্চেঞ্জ, বিএমবিএ এবং বিএপিএলসির সঙ্গে বৈঠক করে এসইসি। ওই বৈঠকে এসইসির পৰ থেকে সংশোধনীর একটি খসড়া উপস্থাপন করা হয়। ওই প্রসত্মাবের ওপর মতামত দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক সপ্তাহের সময় দেয়া হয়। পরে ২৮ মার্চ এসইসিতে আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে চার প্রতিষ্ঠানের পৰ থেকে পুঁজিবাজার তদনত্ম কমিটির প্রতিবেদন পেশ করার আগে বুকবিল্ডিং পদ্ধতি সংশোধন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার পৰে মত প্রকাশ করা হয়। এ কারণে বুকবিল্ডিং পদ্ধতি সংস্কারে এসইসির কার্যক্রম থেমে যায়।
কমিশন পুনর্গঠনের পর অন্যান্য আইন ও বিধির পাশাপাশি বুকবিল্ডিং পদ্ধতি সংশোধনের কাজ শুরম্ন হয়। এই পদ্ধতিতে শেয়ারের দর নির্ধারণে পূর্বের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্য মূল্য নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা নিয়ে এই সংশোধনীর খসড়া চূড়ানত্ম করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
source:http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=34&dd=2011-07-27&ni=66080
ো ব্যাংকিং সেবা থেকে বঞ্চিত গরিব মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ক্ষুদ্রঋণ বা অর্থায়ন ভূমিকা রাখছে। প্রচলিত ব্যাংক ব্যবস্থার বাইরের এই আর্থিক সেবাটি দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ক্ষমতায়নের পথও সুগম করছে।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সংলাপে কয়েকজন বক্তা ক্ষুদ্র অর্থায়নের বিভিন্ন নেতিবাচক দিক তুলে ধরে এর প্রকৃত সফলতার সমালোচনা করেন। তবে অন্যরা ক্ষুদ্রঋণের ইতিবাচক দিকগুলোর ওপর জোর দেন।
একই অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি দরকার বলে অভিমত দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান। এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি বাড়ানোর তাগিদও দেন তিনি। তিনি সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন।
সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডেভিড হিউম। সংলাপ সঞ্চালনা করেন সিপিডির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য খুশী কবির। উপস্থিত ছিলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।
আতিউর রহমান বলেন, উচ্চ প্রশাসনিক ব্যয়ের কারণে ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার বেশি। আবার এর চেয়ে কম ব্যয়ের কোনো আর্থিক সেবাও নেই। তিনি আরও জানান, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিতে এনজিওগুলোর সম্পৃক্তাকে উৎসাহিত করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে আর্থিক সেবা পাওয়া আরও সহজ হবে বলে তিনি মত দেন।
ক্ষুদ্র অর্থায়ন ব্যবস্থা সম্পর্কে চারটি প্রশ্ন রাখেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। এগুলো হলো—যে সুদের ঋণ নেওয়া হচ্ছে তার চেয়ে বেশি সুবিধা ফেরত আসছে কি না, ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে কী পরিমাণ কর্মসংস্থান হচ্ছে, জনগণের ক্ষমতায়ন কতটা হচ্ছে ও ঋণগ্রহীতারা আর কত দিন একই ধরনের ঋণ নেবেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক এস আর ওসমানী বলেন, ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভুল ধারণা রয়েছে। সুদের হার বেশি হলে এর এত বেশি প্রসার হলো কীভাবে?
ওসমানী আরও বলেন, প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা দরিদ্র মানুষের কাছে চাইলেও যেতে পারবে না। কিন্তু ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থায় জামানত ছাড়াই ঋণ পাচ্ছে দরিদ্র মানুষেরা।
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুক বলেন, ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমআরএকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক বাকী খলীলী বলেন, দেশের ৪৫ শতাংশ পরিবারের কাছে ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেতে পারছে। এর মধ্যে আবার ৬০ শতাংশ পরিবারের কাছে যাচ্ছে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দেশের ২ থেকে ৩ শতাংশ দারিদ্র্য বিমোচন হচ্ছে।
খলীলী আরও বলেন, যে কেউ ঋণ নিলে তা উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করতে হবে। উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ না করলে সুদসহ আসল পরিশোধ করা সম্ভব নয়।
ব্র্যাক ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক সৈয়দ এম হাশেমী বলেন, যেকোনো আর্থিক সেবাই দাতব্য কোনো ব্যবস্থা নয়। তাই ক্ষুদ্র অর্থায়ন ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে।
সাংসদ হাসানুল হক ইনু ক্ষুদ্রঋণের পরিমাণের একটি সীমা নির্ধারণের সুপারিশ করেন।
মূল প্রবন্ধে ডেভিড হিউম ক্ষুদ্রঋণের চারটি নেতিবাচক দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থায় নানা মডেল চর্চা হচ্ছে, যা দরিদ্র মানুষের ওপর ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব ফেলছে। ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের নেতিবাচক আচরণ, উচ্চ সুদের হার ও অতিরিক্ত ঋণ সরবরাহের কারণে দরিদ্রদের বোঝা বাড়ছে। এগুলো ক্ষুদ্রঋণের নেতিবাচক দিক হিসেবে তুলে ধরা হয়।
ক্ষুদ্রঋণ সম্পর্কে ডেভিড হিউমের ইতিবাচক দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে—দরিদ্র মানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানো, ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের প্রবণতাসহ সার্বিকভাবে সামাজিক প্রাপ্তসমূহ।
source:http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-07-27/news/173257
বেটেক্স একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বেক্সিমকো লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। এর ফলে বেটেক্স অধিগ্রহণের জন্য বেক্সিমকো লিমিটেড ১০৭ কোটি ২৮ লাখ ২৯ হাজার ২০০ টাকা মূল্যের মোট ১০ কোটি ৭২ লাখ ৮২ হাজার ৯২০টি শেয়ার ইসু্য করতে পারবে। কোম্পানি আইন অনুযায়ী দুই কোম্পানির একীভূতকরণের সিদ্ধানত্ম হাইকোর্টে অনুমোদন হওয়ায় মূলধন বৃদ্ধির আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে বলে এসইসির মুখপাত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের জানান।
এর আগে বেক্সিকো লিমিটেডের সঙ্গে বেটেক্স একীভূত করার ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অনুমোদন চেয়ে দুই কোম্পানির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। এর ভিত্তিতে হাইকোর্টের সংশিস্নষ্ট বেঞ্চ দুই কোম্পানির ইজিএম করে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন গ্রহণের আদেশ দেন। গত ৩০ জুন অনুষ্ঠিত ইজিএমে শেয়ারহোল্ডাররা এ বিষয়ে অনুমোদন দেন। এরপর একীভূতকরণের প্রস্তাব হাইকোর্টের অনুমোদন লাভ করে। ইতোমধ্যেই দুই কোম্পানির পৰ থেকে ৩১ জুলাইকে একীভূতকরণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
একীভূতকরণের ঘোষণা অনুযায়ী বেটেক্স শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির ৫টি শেয়ারের বিপরীতে বেঙ্মিকো লিমিটেডের ১টি শেয়ার পাবেন। দুই কোম্পানির সম্পদ মূল্যায়ন করে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান মেসার্স আতা খান এ্যান্ড কোম্পানি শেয়ার বিনিময়ের এ হার নির্ধারণ করে।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী বেটেক্স মোট শেয়ার সংখ্যা ৪৬ কোটি ৬৪ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭৮। সর্বশেষ ঘোষিত লভ্যাংশ অনুযায়ী ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার যুক্ত হলে কোম্পানির শেয়ারসংখ্যা ৫৩ কোটি ৬৪ লাখ ১৪ হাজার ৫৯৯টিতে দাঁড়াবে। এর বিনিময়ে বেঙ্মিকো লিমিটেডের ১০ কোটি ৭২ লাখ ৮২ হাজার ৯২০টি শেয়ার ইস্যু করা হবে। এই কোম্পানির বর্তমান শেয়ারসংখ্যা ১৬ কোটি ৫৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫৮০। ৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার যুক্ত হওয়ার পর এই সংখ্যা ১৬ কোটি ৯ লাখ ২৪ হাজার ৩৮০টিতে উন্নীত হবে। রেকর্ড ডেটের পর দুই কোম্পানি একীভূত হওয়ায় বেঙ্মিকোর শেয়ারসংখ্যা দাঁড়াবে ২৬ কোটি ৮২ লাখ ৭ হাজার ৩০০।
source:http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=34&dd=2011-07-27&ni=66094
অতিমাত্রায় সুদের ব্যবসায় ঝুঁকে পড়েছে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ১৩ থেকে ১৫ শতাংশ হারে সুদে আমানত নিয়ে ১৭/১৮ শতাংশ হারে টাকা লগি্ন করছে এসব প্রতিষ্ঠান। চড়া সুদ দিয়ে আমানত নেয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ মনে করেন, ব্যাংক সুদের হার ও তারল্য সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংককে এগিয়ে আসতে হবে। তার মতে, মুদ্রামান হ্রাস, ব্যাংকের চড়া সুদের হার, তারল্য সংকট ও উচ্চমূল্যে আমদানি মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিরও অন্যতম প্রধান কারণ। চড়া সুদে আমানত নেয়ার প্রতিযোগিতা অর্থনীতির জন্য ভালো খবর নয়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত সুদের ব্যবসার বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে তদারকি করতে হবে। কারণ এর টাকা চলে যায় অনুৎপাদনশীল খাতে। এতে প্রকৃত উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়। এ নিয়ে উদ্বেগের কারণ আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত প্রবৃদ্ধির হার ২২ শতাংশে পেঁৗছেছে। আমানত সংগ্রহের দৌড়ে এগিয়ে আছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি সুদ দিয়ে আমানত সংগ্রহ করলে ঋণ প্রদানেও চড়া সুদ আদায় করে ব্যাংকগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে। টাকা চলে যায় অনুন্নয়ন খাতে। কারণ, চড়া সুদে শিল্প গড়ে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়।
এদিকে আমানত বাড়লেও সেই তুলনায় বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ছে না। চলতি বছরের শুরু থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৪ মাসে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত বছরের শেষের তুলনায় এপ্রিলে এসে ১২টি ব্যাংকের ঋণ বিতরণ কমে গেছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে_ ৪টি সরকারি, ৫টি বেসরকারি ও ৩টি বিদেশি। বিশেষায়িত একটি ব্যাংকে ৪ মাসে ঋণ বিতরণ কমেছে ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে বাজেট ঘাটতি মেটাতে সামপ্রতিক সময়ে সরকার ব্যাংক থেকে বেশি বেশি ঋণ নিচ্ছে। এতেও আর্থিক ঝুঁকি থাকছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ২৬ মে যেখানে সরকারি-বেসরকারি, বিদেশি ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর আমানতের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ২৭ হাজার ৪০ কোটি টাকা, সেখানে ২০১১ সালের ২৬ মে সময়ে এসে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। এ সময়ের ব্যবধানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত বেড়েছে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ।
গত এক বছরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ১৬ দশমিক ১ শতাংশ। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর আমানত বেড়েছে ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ, বিদেশি ব্যাংকগুলোর আমানত বেড়েছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ এবং বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর আমানত বেড়েছে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ।
চলতি বছরের ৯ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের ওপর সুদের সর্বোচ্চ সীমা বা ল্যান্ডিং ক্যাপ প্রত্যাহার করে নেয়। মূলত ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের দীর্ঘ দিনের দাবির মুখে ২০০৯ সালে ব্যাংক ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ১৩ ভাগ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশেও ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিট বা ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা। এ বিষয়ে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি বলেন, ঋণের সর্বোচ্চ সীমা প্রত্যাহার করে নেয়ায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত সুদ ব্যবসার দিকেই ঝুঁকে পড়বে। এছাড়া বেশি সুদের কারণে শিল্পখাতে বিনিয়োগকারীরা ঋণ নেয়ার সাহস হারিয়ে ফেলছেন। যার সুস্পষ্ট প্রভাব পড়বে আগামী দিনের ব্যাংক মুনাফায়। সেখান থেকে সরকারও রাজস্ব হারাবে।
সূত্র জানায়, আইএমএফের কাছ থেকে ইসিএফের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ শর্তে জড়িয়ে পড়ে ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার থেকে সরে আসে সরকার। এ ঋণ নিয়ে আলোচনা চললেও এখন সরকারের কোষাগারে এসে জমা হয়নি। তবে 'নমনীয়' এ শর্ত কার্যকর করেছে সরকার। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ল্যান্ডিং ক্যাপের বিষয়টি নীতিগতভাবে সমর্থনযোগ্য নয়, এটা ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত (ডিসটরশন) ঘটিয়ে থাকে।
জানা গেছে, নিত্যপণ্যের ক্ষেত্রে সুদের হার নিম্নপর্যায়ে রাখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা থাকলেও তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কার্যকর হয়নি। ব্যাংক ঋণের চড়া সুদ ও তারল্য সংকট বাণিজ্য ও বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বলে মনে করে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের সর্বোচ্চ সংগঠন এফবিসিসিআই। সংগঠনটির সুদের উচ্চ হার অর্থনীতিকে আশঙ্কাজনকভাবে স্তিমিত করে তুলেছে। এ সমস্যা ঘনীভূত হয়ে বাণিজ্যিক খাত ও শিল্পে বিনিয়োগ প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। নতুন দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
source:http://www.dainikdestiny.com/index.php?view=details&type=main&cat_id=1&menu_id=31&pub_no=84&news_type_id=1&index=4
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান রিজার্ভের ওপর চাপ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে এ নিয়ে কোনো নেতিবাচক আশঙ্কা দেখছেন না তিনি। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, যেভাবে প্রবাসী শ্রমিক কমে যাচ্ছে তাতে রিজার্ভে বড় ধরনের চাপ পড়বে। এর বড় ঝুঁকি সামনে, রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র করে আমদানি বেড়ে যাবে। এতে রিজার্ভে প্রভাব পড়বে।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে আর্থিক ঝুঁকি কমাতে রফতানির বিকাশ প্রয়োজন। এতে খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরি হবে। দেশে কর্মসংস্থান হবে।
আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তা মেটাতে গিয়ে টান পড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। এখন যে সঞ্চয় রয়েছে, তা দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো কঠিন হয়ে পড়বে। গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার কোটি (১০ বিলিয়ন) ডলার। সপ্তাহখানেক আগে তা এক হাজার ১০০ কোটি ডলারে উঠেছিল। কিন্তু এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ৮৩ কোটি ৮০ লাখ ডলারের আমদানি দেনা মেটানোর পর তা নেমে আসে। আগামী দু-এক মাসের মেধ্য যদি রিজার্ভ না বাড়ে আর আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন মির্জ্জা আজিজ। তিনি শনিবার বলেন, ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় মেটাতে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের ফরেন এইড (বৈদেশিক সাহায্য) প্রবাহ ভালো না। অনেক সাহায্য পাইপলাইনে আটকে আছে। ছাড় হচ্ছে না। সেগুলো এলে রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক অবস্থায় থাকতো। রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বলেছেন, আমদানি ব্যয় কমাতে প্রয়োজনীয় এবং বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে।
ওভার ইনভয়েসের (বেশি মূল্য দেখিয়ে আমদানি) মাধ্যমে পণ্য আমদানি হচ্ছে কি না তা যাচাই করে দেখতেও বলেছেন সাবেক এ উপদেষ্টা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, জুন মাস থেকে আমদানি খাতে নিম্নমুখী ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রেমিটেন্স প্রবাহও বাড়ছে। অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। আশা করছি, আমদানি ব্যয় কমে আসবে। রিজার্ভের ওপরও চাপ কমবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আমদানি বাবদ সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে গত মে মাসে_ ৩২৯ কোটি ১৮ লাখ ডলার। এর আগে কখনোই এক মাসে আমদানি খাতে এত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করেনি বাংলাদেশ।
গত পাঁচ মাস ধরেই ৩০০ কোটি ডলারের বেশি পণ্য আমদানি হচ্ছে। অন্যদিকে আকুর দেনা পরিশোধের ক্ষেত্রেও এবার রেকর্ড হয়েছে। আকুর সদস্য দেশগুলো থেকে বেশি পণ্য আমদানি হওয়ায় দেনাও বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী ২০১০-১১ অর্থবছরের ১১ মাসে ৩ হাজার ৭৪ কোটি ৭১ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে, যা গত ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৪৩ শতাংশ বেশি।
source:http://www.dainikdestiny.com/index.php?view=details&type=main&cat_id=1&menu_id=31&pub_no=84&news_type_id=1&index=1
ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয়ের পাশাপাশি জোনাল অফিসেও অভিযোগ সেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী এক মাসের মধ্যে জোনাল অফিসগুলোতে অভিযোগ সেল গঠন করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম, পদবি, ফোন, ফ্যাক্স ও ই-মেইল আইডি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এক সার্কুলার জারি করে দেশের ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশ দিেেয়ছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মতো জোনাল অফিসগুলোতে অভিযোগ সেল না থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা অফিসের আওতাধীন ব্যাংক শাখার বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না। এসব অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দ্রুত সেল গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ব্যাংকের গ্রাহকদের সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ সব শাখা কার্যালয়ে একটি করে অভিযোগ সেল গঠন করা হয়েছে।
source;http://www.shamokal.com/
বাংলাদেশ ব্যাংক আজ চলতি বছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদের মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে। কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করার পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণাপত্র তৈরি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতির মাধ্যমে প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য প্রকৃত উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করবে। অন্যদিকে মূল্যস্টম্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে অপচয়ী ও অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণের প্রসার নিরুৎসাহিত করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুদ্রানীতির ভঙ্গি হবে সংকুলানমুখী। তবে সার্বিকভাবে মুদ্রা সরবরাহ বর্তমান পর্যায় থেকে কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমিয়ে আনার চেষ্টা থাকবে নতুন মুদ্রানীতিতে। তবে উৎপাদনশীল খাতে ঋণ জোগানে সচেষ্ট থাকবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান আজ এক সংবাদ সম্মেলনে মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন। আগাম মুদ্রানীতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গভর্নর ড. আতিউর রহমান সমকালকে জানান, বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে মুদ্রানীতি তৈরি করা হয়েছে। নতুন মুদ্রানীতির ভঙ্গি আগের মতোই। তবে মুদ্রানীতির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে সরকারের রাজস্বনীতিসহ অন্যান্য নীতির সহায়ক ভূমিকার দরকার হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং সাড়ে ৭ শতাংশ গড় মূল্যস্ফীতির যে প্রাক্কলন সরকার করেছে, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ করা হবে। তবে মুদ্রা সরবরাহ ও বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি বর্তমান পর্যায়ের চেয়ে কমানো হবে। কমানো হলেও মুদ্রা ও ঋণের জোগান ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট হবে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত ঋণ জোগানের নীতি থাকবে। এক খাতের ঋণ অন্য খাতে ব্যবহার বন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও কঠোর হবে। বর্তমানে ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি রয়েছে ২২ শতাংশের মতো। নতুন মুদ্রানীতিতে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ এটি ১৬ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রক্ষেপণ করা হতে পারে। অন্যদিকে বেসরকারি খাতে বর্তমানে বার্ষিক ঋণ প্রবৃদ্ধি রয়েছে ২৫ শতাংশের কাছাকাছি। নতুন মুদ্রানীতিতে এটি ২০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার প্রক্ষেপণ আসছে।
চলতি অর্থবছরে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেট বক্তব্যে মুদ্রানীতি কিছুটা সংকোচনমূলক হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যে জানানো হয়, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিজনিত অভিঘাত মোকাবেলার জন্য কিছু অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মুদ্রা সরবরাহ ও বেসরকারি খাতে ঋণ সরবরাহ কমানো। এ ছাড়া মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো প্রকাশনায় বলা হয়েছে, ভোগের ক্ষেত্রে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের অংশ তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ার কারণে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অভীষ্ট জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের সঙ্গে যথোপযুক্ত ঋণের প্রবাহ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির চাপ দূর করতে কিছুটা সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ করা যৌক্তিক হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাড়তি মূল্যস্টম্ফীতির চাপের বিষয়টি সার্বক্ষণিক নজরে রেখে রফতানি প্রবৃদ্ধি ও নতুন বিনিয়োগে গতিশীলতা আনতে প্রবৃদ্ধিসহায়ক নীতি অব্যাহত থাকবে। কৃষি ও এসএমই খাতগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থায়নসহ আর্থিক খাতের সেবার আওতায় দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে আনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা ও ঋণনীতি সক্রিয় রাখা হবে। তবে অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ থাকবে। বিবাহ ঋণ, বিলাসী পণ্য ক্রয়ে ঋণসহ এনি পারপাস লোন নিরুৎসাহিত করা হবে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সপ্রবাহ জোরদার এবং ফেরত আসা শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও রেমিট্যান্সের অর্থ বিনিয়োগে আনার নানা পদক্ষেপ মুদ্রানীতি বিবৃতিতে থাকবে।
source:http://www.shamokal.com/
২০১০-১১ অর্থবছরে মিল্ক ভিটা নিট নয় কোটি পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার টাকা মুনাফা করেছে। দেশের বৃহত্তর দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি মিল্ক ভিটার ৩৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় গতকাল এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় আরও জানানো হয়, আলোচ্য অর্থবছরে মিল্ক ভিটা কাঁচা দুধ ক্রয় বাবদ ২০ কোটি ৯২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা বেশি পরিশোধ করেছে।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সভায় সারা দেশ থেকে এক হাজার ৫০টি সমবায় সমিতির প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
সম্মেলনে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খামারি পর্যায়ে তরল দুধের সংগ্রহ মূল্য প্রতি লিটারে দুই টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
সাংসদ চয়ন ইসলামের সভাপতিত্বে এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রহমত আলী।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জোট সরকারের আমলে মিল্ক ভিটায় ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি প্রক্রিয়াজাতকরণ যন্ত্র ক্রয় ও নরসিংদীতে কোটি টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এগুলোর কোনোটি কাজে লাগানো হয়নি। এসব দুর্নীতির সঙ্গে মিল্ক ভিটার যেসব কর্মকর্তা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মিহির কান্তি মজুমদার।
সম্মেলনে মিল্ক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর মিল্ক ভিটার সমবায়ীদের ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হবে।
পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলা চেয়ারম্যান বাকি বিল্লাহ বলেন, এখনো মিল্ক ভিটার দুধে পানি মেশানো হচ্ছে। অপ্রয়োজনে প্রচুর লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
source:http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-07-27/news/173254
Three life insurers will face a grilling on charges of giving dividends without actuarial valuation, which the regulator found as gross violations of law and an attempt to spike prices of its shares in the stockmarket.
The insurers are: National Life, Fareast Islami Life and Prime Islami Life, according to an investigation of the Insurance Development and Regulatory Authority (IDRA).
National Life and Fareast Islami Life gave dividends in 2007 and 2009 without actuarial valuation. Prime Islami Life did not adjust its dividends of 2007 in 2008 to give shareholders extra-dividends, according to the IDRA investigation.
National Life faces a hearing today, Shefaque Ahmed, chairman of IDRA, told The Daily Star. The hearing dates for the other two companies have not yet been finalised.
According to the regulator and industry experts, declaring dividends by life insurers without actuarial valuation is a gross violation of law. The companies, if proven guilty, may face punishment, including fine, said IDRA officials.
Rafiqul Islam, who has nearly five decades of experience in the insurance industry, said life insurers cannot declare dividends without actuarial valuation.
“This is a gross legal violation,” said Islam, also the immediate past president of Bangladesh Insurance Association, a forum of insurance companies, both life and non-life.
The valuation of a life insurance company is of utmost importance, as it does not have any profit and loss account like non-life insurer. Life insurers earn premiums from policyholders, which cannot be taken into profit and loss accounts.
In line with the law, a board of a company first approves the accounts before sending it to an actuary for valuation of its assets and liabilities. After the valuation, the company gives dividends to its shareholders. According to rules, 90 percent of surplus income must go to policyholders and a maximum of 10 percent to shareholders.
But IDRA investigations found two life insurers gave dividends without actuarial valuation of their assets and liabilities.
“The wrongdoing by Prime Life is bigger as it did not adjust its dividends for 2007 in the accounts of 2008,” said a senior official of IDRA. “So the company gave its shareholders more dividends than it actually could.”
Jamal Mohammed Abu Naser, managing director of National Life denied any allegation of violating the law.
“I'll assume my position to be correct when I'll see an actuary approves my accounts for 2007 in the next valuation,” said Abu Naser.
Ekramul Ameen, managing director of Fareast Islami Life Insurance, said he is yet to get any letter from the authority.
Also, Kazi Mohammad Mortaza Ali, managing director of Prime Life Islami Insurance, said he is yet to get any letter from the IDRA.
A share of National Life that was sold at Tk 7,331 (Tk 100 face value) on the Dhaka Stock Exchange yesterday had reached Tk 8,600 in 2010. Similarly, a share of Prime Life, which soared to Tk 3,847 in 2010 (Tk 100 face value), is now being sold at Tk 330 against a face value of Tk 10.
Price of a share of Fareast Islami Life that was closed at Tk 348 (Tk 10 face value) yesterday had reached Tk 4,347 (Tk 100 face value) in 2010.
source:http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=195926
Bangladesh has attracted US$ 913 million in foreign direct investment (FDI) in 2010 calendar year, a leap by 30 per cent, upgrading the country's position to 114 from 119 out of 141 nations, according to the World Investment Report (WIR).
The Board of Investment (BoI) revealed this while launching the WIR 2011 at its office Tuesday.
BoI executive chairman Dr SA Samad, chairman of Privatisation Commission of Bangladesh (PCB) Dr Mirza Abdul Jalil, member (engineering) of Bangladesh Export Processing Zones Authority (BEPZA) Abu Reza Khan, representatives from Bangladesh Bank (BB) and officials concerned of different agencies were present during the launch of the report. It was held at the BoI board room.
The telecom sector alone received $360 million FDI, while the manufacturing sector $238 million in investment from abroad, the report said.
The report added foreign investors poured $145 million into the textile and clothing sector, while the area related to leather and leather products got $46 million.
The BoI executive chairman said: "The FDI inflow to Bangladesh is very low, at the bottom of the table, in terms of absolute FDI."
He, however, said Bangladesh has done well in receiving FDI when compared to other South Asian economies such as Nepal and Bhutan.
He hinted that if the country's GDP growth rate rises to an average 8.0 per cent and the literacy rate increases to 65 per cent, the FDI would be much higher than expected.
"If a country has sustainable growth rate, the FDI flow will automatically grow up, he added.
"Bangladesh's annual FDI ratio is not enough. I think this should be 5.0 to 6.0 billion dollars from the existing less than one billion dollars," he added.
Political instability, military intervention, lack of capacity in the public sector, bureaucratic tangles and natural disasters are some of the major obstacles to investment in the country, he observed.
He said the risk factor perception of foreign investors is gradually declining. "It is a good sign for the country," he added.
Dr SA Samad said the country is safer than India and Pakistan. "Pakistan has become very risky, even I will not invest there." Bangladesh has simplified investment rules, he said.
Dr Samad said it is up to the foreign companies to decide whether to purchase the existing companies or set up new ventures.
He acknowledged that FDI flows for acquisition do not increase the size of the economy.
Prof M Ismail Hossain of Jahangirnagar University, while highlighting the salient features of the report, said most of the foreign investments in Bangladesh have gone into acquisition of older assets rather than setting up greenfield companies.
He said FDI inflow dropped in Pakistan and India in 2010, while it improved in Bangladesh in that year.
Prof Hossain said many developed countries are looking to Bangladesh following increased labour costs in China and Vietnam.
According to enterprise survey of Bangladesh Bank, the FDI inflow was on the steady rise from 2001 to 2005. It rose to US$ 1086.3 million in 2008 but slumped to US$ 700.16 in 2009 and again increased to $913.32 in 2010.
Prof Hossain said greenfield investments plummeted worldwide due to the global financial recession that dented many giant economies.
"But investment increased in manufacturing and telecommunication sectors and marked a fall in power, gas and petroleum," he added.
Mr Hossain said although investment in Africa and South Asia as a whole dropped, South Asia has become a powerhouse of FDI as more than 50 per cent foreign investments were attracted to the region during the said period.
BEPZA member Abu Reza Khan said the number of export processing zones (EPZs) should be increased from the existing eight to absorb investment offers.
PCB chairman Dr Mirza Abdul Jalil said the then Awami League government was able to keep the investment pace in 1996-2001 and the pace would continue during this tenure too.
The BoI executive chairman said an investment of $300 million came in the telecom sector in 2008 and it increased the FDI figure in that year.
Dr Samad said during the tenure of General HM Ershad, the United Nations had set up the UNIDO office to increase the capacity of the government to promote investments in the country.
Dr Samad said global beverage company Coca-Cola had expressed its willingness to invest $50 million to set up a plant in Bangladesh.
"We invited them in this February to register with BoI to set up the plant," he added.
"I just came from Moscow and Gazprom wants to set up its office in Dhaka," he said.
It may be a regional office of the Moscow-based multinational hydrocarbon company, he said.
He said the government is negotiating with Gazprom to strike deals to supply gas production-related equipment.
source:http://www.thefinancialexpress-bd.com/more.php?news_id=144193&date=2011-07-27
Updated news from Bangladesh & update automatically (Current news, Job Link, Immigration updates)
Please Wait Just 1 Minute to Load this Page
Please Wait Just 1 Minute to Load this Page
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Make Money With Google AdSense
Anyone who owns or is thinking about creating a website would be crazy to ignore this.
I am happy to say that making money with your site, no matter the topic, has become easier than it's ever been before - and it's 100% legitimate.
If AdSense had been available in 2000, I would have NEVER shut down my soap opera fan site that received 200 hits per day. I would have been able to earn money from that traffic and probably turned a small profit.
What is AdSense?
Google.com earns most of its revenue by allowing other website owners to advertise on their search result pages. All this is managed through a program they call AdWords.
Now you can earn a share of the revenue that Google earns from AdWords by displaying these same text ads on your site. In other words, you're helping Google advertise and they pay you a percentage of what they earn.
This program is called AdSense.
Every website owner should at least consider the program. Even if your site is just for information purposes, you can still participate and make decent money with AdSense -- or at least enough to fund your website.
So if you are one of those people that doesn't like the idea of paying for a site, this is an excellent way to earn your money back and then some.
How AdSense Works
Don't like to read a lot of text? Watch my 4-minute video on how AdSense works.
How Much Can You Earn With AdSense?
Google does not disclose exactly how much you'll earn per ad that is clicked.
The commission you receive per click depends on how much advertisers are paying Google for the particular ad. You will earn a share of that amount. I've heard of earnings anywhere from 2 cents to $15 per click.
So it is logical to believe that keyword phrases like debt free, employment, make money, mp3, sex, etc. will earn you more per click since these are highly competitive keywords that are searched for quite a bit on the web.
Advertisers generally pay more for popular terms because they are searched for more.
Even though Google will not reveal how much you are earning for each ad that is clicked from your site, you can still login to your account at any time and see the total amount of revenue you've generated that day, week, month, year, etc.
For example, if you see that you've made $12.60 today from 9 clicks then you can calculate that your average click-thru commission was $1.40 per click. That's as detailed as their stats will get. Also remember, that's only an average. You won't know how much each specific ad brought in.
The amount you'll earn also depends largely on the amount of targeted traffic you receive to your own site, how well the ads match your audience's interests, the placement of the ads on your pages, and of course the amount you receive per click.
Ideally, you should create a site on a topic you know a lot about. That way you'll have a much easier time creating a generous amount of content on that subject.
jobs @ JobStreet.com
The New Nation
Life insurance
Life insurance is a contract between the policy holder and the insurer, where the insurer promises to pay a designated beneficiary a sum of money (the "benefits") upon the death of the insured person. Depending on the contract, other events such as terminal illness or critical illness may also trigger payment. In return, the policy holder agrees to pay a stipulated amount (the "premium") at regular intervals or in lump sums. In some countries, death expenses such as funerals are included in the premium; however, in the United States the predominant form simply specifies a lump sum to be paid on the insured's demise.
The value for the policy owner is the 'peace of mind' in knowing that the death of the insured person will not result in financial hardship.
Life policies are legal contracts and the terms of the contract describe the limitations of the insured events. Specific exclusions are often written into the contract to limit the liability of the insurer; common examples are claims relating to suicide, fraud, war, riot and civil commotion.
Life-based contracts tend to fall into two major categories:
Protection policies – designed to provide a benefit in the event of specified event, typically a lump sum payment. A common form of this design is term insurance.
Investment policies – where the main objective is to facilitate the growth of capital by regular or single premiums. Common forms (in the US) are whole life, universal life and variable life policies.
No comments:
Post a Comment